পাশের বিল্ডিংয়ে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় বড় ভাই

একই স্কুলে পড়াশোনা করত দুই ভাই। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে বড় ভাই আরবি হাসান (১৪)। আর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত ছোট ভাই জুনায়েদ হাসান (১০)। গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এ সময় নিহত হয় জুনায়েদ হাসান। সে সময় পাশের বিল্ডিংয়ে ছিল আরবি হাসান। এজন্য প্রাণে বেঁচে যায় সে।তারা তুরাগের নয়ানগর এলাকার মো. আসলামের ছেলে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহতের মরদেহ নিতে এসছিলেন নিহতের নানা মোহাম্মদ মোসলে উদ্দিন। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। কন্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার ছোট নাতি আমার বাসায় বেশিরভাগই সময় থাকতো। ছোট থেকে আমাকে বেশি পছন্দ করত। আজ তাকে আমরা মৃত অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যথা কার কাছে বলব।’ মোহাম্মদ মোসলে উদ্দিন বলেন, ‘আমার দুই নাতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। বড় নাতি আরবি হাসান বিমান বিধ্বস্তের সময় পাশের একটি ভবনে থাকায় সে হালকা দদ্ধ হয়েছিল। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাই। ছোট নাতি জুনায়েদ হাসানকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে নানা মোহাম্মদ মোসলে উদ্দিনের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। তুরাগ থানার এস আই মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত জুনায়েদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান এফটি-৭ বিজিআই রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের কয়েকজন ছাড়া সবাই স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *