চীনকে ভারতের বার্তা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাণিজ্য বাধা এড়িয়ে চলাই গুরুত্বপূর্ণ

বেইজিং সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে হবে, সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং বাণিজ্যে ‘বাধা নীতিমূলক’ পদক্ষেপ পরিহার করতে হবে। এটা চার বছর পর জয়শঙ্করের প্রথম চীন সফর। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চার বছরব্যাপী সামরিক উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। তারপর ২০২৪ সালে তারা পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্তে পৌঁছার পর থেকে উত্তেজনার বরফ গলতে শুরু করে। বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, গত ৯ মাসে দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ভালো অগ্রগতি করেছে, যা মূলত সীমান্ত সংঘাত প্রশমনের ফল। ভারত ও চীনের মধ্যে ৩৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই সীমানা এখনো অস্পষ্ট ও বিতর্কিত। ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর থেকে এ নিয়ে বহুবার আলোচনা হলেও খুব ধীর গতিতে অগ্রগতি হয়েছে।

 

গত মাসেও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বলেন, সীমান্ত সমস্যা সমাধানে একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এটি ভারতের পক্ষ থেকে সমস্যার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। জয়শঙ্কর বলেন, এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সীমান্ত সম্পর্কিত অন্য বিষয়গুলো। বিশেষ করে উত্তেজনা প্রশমন করা। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও বিধিনিষেধ এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেন পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা গড়ে তোলা যায়।
তার মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন বেইজিং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুর্লভ খনিজ পদার্থ এবং উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

উল্লেখ্য, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দুর্লভ খনিজ পদার্থের রিজার্ভের অধিকারী হলেও দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এখনো উন্নত নয়। বৈঠকের ব্যাপারে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, জয়শঙ্করের সঙ্গে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং-এরও বৈঠক হয়েছে। হান ঝেং বলেন, ভারত ও চীনের উচিত বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়া এবং একে অপরের উদ্বেগকে সম্মান করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *