শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক আটক


প্রাইভেট পড়তে আসা ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে পরিত্যক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় কবির হোসেন নামে এক যুবক। স্থানীয় দুই ব্যক্তি তাকে হাতেনাতে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। রোববার সকালে নান্দাইল রোড বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত কবির মিয়া (৩৫) বারইগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা। তিন সন্তানের বাবা কবির একজন চা দোকানি।
সূত্র জানায় পুলিশের একটি পিকআপের চারদিকে উৎসুক মানুষের ভিড়। তার কাছে গিয়ে দেখা যায় পিকআপে পুলিশের দুই সদস্যের সঙ্গে বসা অভিযুক্ত কবির মিয়া। এ সময় স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে গাঙ্গাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাসায় প্রাইভেট পড়তে আসে। প্রাইভেট পড়া শেষে সকাল ৮টার দিকে বাড়ি যাওয়ার জন্য নান্দাইল রোড বাজারে একটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সকালবেলা হওয়ায় বাজারে লোকজনের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। এ সময় অভিযুক্ত কবির মিয়া মেয়েটিকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে চ্যাংদোলা করে কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ভবনের দোতলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
স্থানীয় অনয় মাইক সার্ভিসের কর্মচারী আমিন শেখ বিষয়টি দেখে বাজারের অন্য ব্যবসায়ী ইব্রাহিম মিয়াকে ঘটনাটি জানান। পরে দুজন মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং কবির মিয়াকে আটক করেন। খবর পেয়ে অন্য লোকজন এসে অভিযুক্ত যুবককে বেঁধে রেখে পুলিশকে ঘটনা জানান। স্থানীয়রা জানান কবির পাশের চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডে চা দোকান চালান।
প্রত্যক্ষদর্শী আমিন শেখ জানান, তার বাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। এখানে চাকরি করার কারণে কাউকেই তিনি চেনেন না, তাই একা প্রতিরোধ করতে সাহস না পেয়ে ইব্রাহিম মিয়াকে ঘটনাটি জানান।
ইব্রাহিম মিয়া জানান, আমিন শেখের কাছ থেকে শুনেই ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান তারা। অভিযুক্ত কবির তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানিয়ে দুই হাজার টাকাও দিতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনায় আটক কবির মিয়ার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীর স্বজনরা অভিযোগ দিতে থানায় এসেছেন। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে