পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ নিখোঁজ শ্রমিক দল নেতার মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ জসিম উদ্দিন মোড়ল নামে সেই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। আজ রোববার দুপুরে ভালুকা উপজেলার চান্দরহাটি সুতিয়া নদীর বাইদ্যাবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জসিম উদ্দিন মোড়ল উপজেলার মশাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে গফরগাঁওয়ে মশাখালী মুখী ব্রিজ ঘাট এলাকায় সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। জসিম মুখী গ্রামের মৃত হাশেম মোড়লের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানাধীন মুখী নদীরপাড় ব্রিজ ঘাট এলাকার লিটন সূত্রধরের মেয়ে কলেজছাত্রী সুবর্ণা সূত্রধরের অপহরণের ঘটনা তদন্তে যায় পাগলা থানা-পুলিশ। এসময় সাবেক শ্রমিক দল নেতা জসিম উদ্দিন মোড়ল, ফাহিম মিয়া ও ভালুকার মাহমুদপুর গ্রামে সোহেলসহ কয়েকজন মুখী ব্রিজ ঘাট এলাকায় মাদক সেবন করছিলেন। পুলিশ দেখে ভয়ে জসিম, সোহেল ও ফাহিম দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। এসময় ফাহিম ও সোহেল সাঁতার কেটে নদী থেকে উঠতে পারলেও জসিম নিখোঁজ হন।

পাগলা থানার এসআই আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘ঘটনার দিন আমিসহ পুলিশের একটি দল লিটন সূত্রধরের মেয়ে কলেজছাত্রী সুবর্ণা সূত্রধরের অপহরণের ঘটনা তদন্তে যাই। আমরা তাদের ধাওয়া বা আটক করতে যাইনি। পরে জানতে পারি কে বা কারা আমাদের (পুলিশ) দেখে দৌড়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং একজন নিখোঁজ হয়।’

মশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম চমক ফকির বলেন, নিহত জসিম উদ্দিন মোড়ল মশাখালী ইউনিয়নে শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঘটনাস্থলে অভিযানে আসা ভালুকা ফায়ার সার্ভিস অফিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান নিখোঁজ জসিম উদ্দিন মোড়লের মরদেহ উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ‘পুলিশ কাউকে ধরার জন্য ওই এলাকায় যায়নি। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে তারা সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল। পরে শুনেছি, ২-৩ জন নাকি পুলিশ দেখে ভয়ে নদীতে নেমে যায়। পরে একজনের নিখোঁজের খবর পাই।’

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ জসিমের লাশ উদ্ধার হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সূরতহাল তৈরি করেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *