কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন ইসরাফিল হোসেন (৪৭) নামে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তা মোড়স্থ আসামির নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কর্মকর্তা ইসরাফিল হোসেনকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় জড়িত আসামি কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ ও তার ছেলে প্রণয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইসরাফিল হোসেন জানান, দুপুরে শহরের ছয় রাস্তার মোড়ে একটি চায়ের দোকানে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অবস্থান নিই। এসময় হারুনের সাথে তাদের দেখা। সালাম বিনিময় করার পর হারুন অর রশিদের পরিচয় জানতে চাইলে দৌড়ে হারুন তার বাড়ির দিকে চলে যান। আমরা গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরাও তার পিছু ধাওয়া করি। এ সময় হারুনকে তার বাড়ির সামনে গিয়ে গ্রেফতার করতে গেলে বাড়ি থেকে হারুনের ছেলে প্রণয় ধারালো বটি নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। তাদের হাতে থাকা ধারালো বটির কোপে আমি রক্তাক্ত জখম হই। আমার পিঠে বেশ কয়েকটি স্টেপ করা হয়।
ওবাইদুর রহমান নামের গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যা মামলার আসামি হারুনুর রশিদের শহরে থানাপাড়া এলাকার বাড়িতে অভিযানে যায়। কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের এস আই ইসরাফিলসহ একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি হারুনের ছেলে এসআই ইস্রাফিলের উপর ধারালো বটি দিয়ে আক্রমণ করে। এতে এসআই ইসরাফিল রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় হামলাকারী হারুন ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আমরা। কুষ্টিয়ায় এধরণের হামলায় আমরা আশা করিনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদের নাম এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ডিবি পুলিশের একটি দল থানাপাড়া এলাকায় হারুনুর রশিদের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই ইসরাফিল হোসেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম
All rights reserved ©2025 freedomjanata24.news